Reasons for opposition
to Treaty of Versailles:
Reasons for opposition to Treaty of Versailles:
[1) Anti-Nationalist
Pact: The Treaty of Versailles separated several
German-occupied territories from Germany. In addition, Hitler opposed the
Treaty of Versailles for its anti-nationalist measures such as allowing Poland
to create a communication route through Germany called the 'Police Corridor'
and bringing the German port of Danzig under international control.
[2] Reparations Pact: Hitler, like the Germans,
could not accept the imposition of financial reparations on Germany in the name
of war reparations. So he also opposed the Treaty of Versailles.
[3] Inhumane and
Merciful Treaty: The terms of the Treaty of Versailles were so harsh towards Germany
that it is no exaggeration to call this treaty an inhumane and merciless
treaty. The extreme leniency shown by the Allies to Germany through the Treaty
of Versailles for the crime of war was reprehensible. According to historian
Lassing, the Allies imposed these inhumane terms of the treaty as revenge on
Germany.
Reasons for abandoning
disarmament meeting:
Two consecutive disarmament conferences were held with
the aim of establishing peace after the First World War, with the initiative of
the United Nations on the one hand and a total of nine countries joining the
call of the United States on the other. But Hitler abandoned this disarmament
meeting because—
[1] Unilateral policy: Each state attending the
Disarmament Conference demanded German disarmament but remained silent on the
issue of disarmament for their own countries. Hitler abandoned the meeting for
this one-sided policy on the question of disarmament.
[2] Opposing Nazi
ideals: The Nazi party led by Hitler wanted to prove
Germany's superiority to the world through military might. The main goal of
Nazi foreign policy was world domination by force. But the disarmament conference
is military aggression Hitler abandoned the meeting due to opposition.
[3] Opposite of 'Leben
Schraum' ideology: Hitler wanted to expand the German Empire in
Eastern Europe to expand Leben Schraum or housing for Germans. To this end he
planned to seize Eastern Europe and Soviet Russia to attack France. But knowing
that joining the disarmament meeting would destroy his plan, Hitler abandoned
the disarmament meeting.
ভার্সাই চুক্তির বিরোধিতার
কারণ:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জয়ী মিত্রপক্ষের সঙ্গে জার্মানির ভার্সাই
সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়। প্যারিস শান্তি সম্মেলনে (১৯১৯ খ্রি.) স্বাক্ষরিত এই সন্ধি ছিল
আসলে জার্মানির ওপর প্রতিশোধমূলক এক ইস্তেহার মাত্র, তাই হিটলার বিভিন্ন কারণে এই সন্ধির
বিরোধিতা করেন—
[1) জাতীয়তাবাদ বিরোধী
সন্ধি: ভার্সাই
সন্ধির মাধ্যমে জার্মানি থেকে জার্মান অধ্যুষিত বেশ কিছু অঞ্চল আলাদা করে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও পোল্যান্ডকে জার্মানির ভিতর দিয়ে ‘পোলিস করিডোর’ নামক এক যোগাযোগের পথ তৈরি
করে দেওয়া এবং জার্মানির ডানজিগ বন্দরকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণাধীনে আনা ইত্যাদি
জাতীয়তাবাদ বিরোধী পদক্ষেপের জন্য হিটলার ভার্সাই চুক্তির বিরোধিতা করেন।
[2] অর্থ আদায়কারী সন্ধি: যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়ের নামে জার্মানির উপর যেভাবে
জোরজবরদস্তি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা জার্মানবাসীদের
মতোই হিটলারও মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনিও ভার্সাই সন্ধির বিরোধিতা করেন।
[3] অমানবিক ও অনুদার সন্ধি: ভার্সাই সন্ধির শর্তগুলি জার্মানির
প্রতি এতটাই কঠোর ছিল যে এই সন্ধিকে অমানবিক ও অনুদার সন্ধি বললে কোনো অত্যুক্তি হয়
না। যুদ্ধ সৃষ্টির অপরাধে ভার্সাই সন্ধির মাধ্যমে মিত্রপক্ষ জার্মানির প্রতি যে চরম
অনুদারতা দেখিয়েছিল তা ছিল নিন্দনীয়। ঐতিহাসিক ল্যাসিংএর মতে–জার্মানির ওপর প্রতিশোধের
লক্ষ্যে মিত্রশক্তি এই অমানবিক সন্ধির শর্তগুলি চাপিয়ে দিয়েছিল।
নিরস্ত্রীকরণ বৈঠক ঠৈক পরিত্যাগের
কারণ:
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে একদিকে
জাতিসংঘের উদ্যোগে অপরদিকে আমেরিকার আহ্বানে যোগদানকারী মোট নয়টি দেশের উদ্যোগে পরপর
দুটি নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এই নিরস্ত্রীকরণ বৈঠক হিটলার পরিত্যাগ
করেন কারণ--
[1] একপেশে নীতি: নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে যোগদানকারী
প্রতিটি রাষ্ট্রই জার্মানির অস্ত্র হ্রাসের দাবি জানালেও নিজ নিজ দেশের ক্ষেত্রে অস্ত্র
হ্রাসের প্রশ্নে নীরব থাকে। নিরস্ত্রীকরণের প্রশ্নে এই একপেশে নীতির জন্য হিটলার বৈঠক
পরিত্যাগ করেন।
[2] নাতসি আদর্শের বিরোধী: হিটলারের নেতৃত্বে নাতসি দল চেয়েছিল
সামরিক শক্তির সাহায্যে বিশ্বে জার্মানির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। নাতসি পররাষ্ট্রনীতির
মূল লক্ষ্য ছিল বলপ্রয়োগ নীতি দ্বারা বিশ্বে প্রভুত্ব অর্জন। কিন্তু নিরস্ত্রীকরণ
সম্মেলন সামরিক আগ্রাসন
বিরোধী হওয়ায় হিটলার এই বৈঠক পরিত্যাগ করেন।
[3] 'লেবেন শ্রউম' আদর্শের
বিরোধী:
হিটলার চেয়েছিলেন পূর্ব ইউরোপে জার্মান সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটিয়ে জার্মানবাসীর
জন্য লেবেন শ্রউম বা বাসস্থানের সম্প্রসারণ ঘটাতে। এই লক্ষ্যে তিনি ফ্রান্স আক্রমণের
জন্য পূর্ব ইউরোপ ও সোভিয়েত রাশিয়া অধিকারের পরিকল্পনা নেন। কিন্তু নিরস্ত্রীকরণ
বৈঠকে যোগ দিলে তাঁর এই পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে জেনে হিটলার নিরস্ত্রীকরণ বৈঠক পরিত্যাগ
করেন।
No comments:
Post a Comment